

শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নের হালইসার নন্দনসার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুর রহমান এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।সহকারী শিক্ষকদের সাথে আচরণ খারাপ করা,নিজের ইচ্ছে মতো স্কুলে আসা এবং ম্যানেজিং কমিটি সাথে যোগসাজশে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এলাকার লোকজনের দেওয়া অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, হালইসার নন্দনসার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষক শহিদুর রহমান। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ,তিনি অত্র স্কুলে নিয়োগ পাওয়ার পরে একক সিদ্ধান্তে ম্যানেজিং কমিটির সাথে যোগসাজশে নানা অনিয়ম করায় ভেঙে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করার সুযোগে তিনি নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন। শুধুমাত্র স্কুল কমিটিকে ম্যানেজ করে বিদ্যালয় উন্নয়নের অজুহাতে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।পরিক্ষার ফি,মাসিক বেতন,বছরে শিক্ষা সফর এর অর্থ বাণিজ্য ও স্কুল ফান্ডের অর্থ আত্মসাতের জন্য প্রতিবারই ম্যানেজিং কমিটির সাথে কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও সিসিটিভি ক্যামেরা কেনার কথা বলে ২০২০ সালে নগদ ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, নিয়মনীতি না মেনে গত বৃহস্পতিবার ১৮/৮/২০২২ ইং তিনি ছাত্র ছাত্রীদের পিকনিকে নেওয়ার কথা বলে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা কালেক্ট করেন,এতে তিনি ছাত্র ছাত্রীদের সাথে অসৎ আচরণ, এবং টাকার হিসাব না দেওয়া, সহ ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে উনি বলেন,পিকনিকের জন্য আমি ৮০ জন ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে ৭৮ হাজার টাকা আমি হাতে পেয়েছি এবং খরচ করেছি ৭৭ হাজার। তবে এর কোন শক্ত ডক্যুমেন্টস তিনি দেখাতে পারেননি সাংবাদিকদের। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগের পর সাংবাদিকরা তথ্য কালেকশন করতে স্কুলে গেলে তিনি তার সহকারী শিক্ষকদের দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অশালীন আচরণ এবং ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে স্থানীয় লোকজন। এবং তারা তার বিরুদ্ধে বিগত দিনের ব্যাপক অনিয়মের তথ্য দেন সাংবাদিকদের। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত আশা করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘আমি ৩২ বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য যা দরকার সবই করেছি।আমার ব্যক্তিগত কাজের জন্য আমি কখনো কিছু করিনি এবং আমি কোন দূর্নীতি করিনি। আমার বিরুদ্ধে কিছু লোক আগে থেকেই ষড়যন্ত্র করে আসছে। স্থানীয় লোকজন এবং ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকদের দাবি সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন অনিয়ম পেলে যেনো উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন এমন প্রত্যাশা তাদের।
আপনার মতামত লিখুন :